আমাদের মাদরাসার একজন মুহাদ্দিস। প্রতিষ্ঠিত লেখক,
সাহিত্যিক। এক সময় মদিনায় লিখতেন। মাওলানা মুহিউদ্দিন খান সাহেবের স্নেহছায়া পেয়েছেন। লিখতেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অগ্রপথিকে, সবুজপাতায়। দৈনিক
ইনকিলাবে। অন্তত
২০টা বই বাজারে আছে।
মৌলিক রচনা। কয়েকটা অনুবাদও আছে। বইগুলোর কাটতি ভালো। তাঁর হাতে তৈরী ছাত্রদের কেউ কেউ এখন ভালো লেখক।
আজ সকালে একসাথে বসা ছিলাম। বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রুফ দেখা হচ্ছে। আরবীগুলো
শেষ করে নিচের জামাতের বাংলাগুলো হাতে। একে একে কয়েকটা বানান তিনি অভিধানে দেখতে বললেন। বানানরীতি
অনুযায়ী একরকম হওয়ার কথা। নিয়মের ব্যতিক্রম কিনা। নিশ্চিত হওয়া দরকার। আমি দেখে দেখে জানালাম। তিনি যেমন জানেন তেমনি আছে।
আমি কিছুটা ভাবিত হলাম। একজন লব্দপ্রতিষ্ঠিত লেখক। কয়েক যুগ ধরে নিয়মিত লিখছেন। বানানরীতি রপ্ত আছে। এতকিছুর পরেও বারবার অভিধান খোলা। সামান্য সন্দেহকেও গুরুত্ব দিয়ে অভিধান দেখে নিশ্চিত হওয়া। আসলে এ
কারণেই তারা লেখক। বড়। প্রতিষ্ঠিত।
আমি এবং
আমার
মতো
যারা
লেখকও
না, ফেখকও না।
(ফেসবুকে যারা টুকটাক
লেখে
তারা
নাকি
ফেখক।)আমাদের জন্য তো অভিধান কাছে রাখা ফরজ।
এ
ফরজ
নিয়মিত
আদায়
করতে
থাকলেই
হয়তো
কিছুদূর
এগুতো
পারবো। অন্যধায়
এক
জীবন
লিখেও
হয়তো
লেখার
মান
প্রথম
দিনের
জায়গায়
থাকবে। [আবু ওয়াফা ২৭.০৫.১৫ঈ.]
Comments
Post a Comment